Header Ads Widget

Responsive Advertisement

প্রস্রাব শেষ হওয়ার পরও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বের হয়।



প্রস্রাব শেষ হওয়ার পরেও এক-দুই ফোঁটা পড়ে যাওয়ার কারণ সাধারণত শারীরিক গঠনের সাথে সম্পর্কিত। এর কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:

১. মূত্রনালি ও প্রস্রাবের প্রবাহজনিত কারণ

  • প্রস্রাবের শেষ দিকে মূত্রনালিতে কিছু তরল থেকে যেতে পারে, যা পরে বেরিয়ে আসে।
  • বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে, প্রস্রাবের পর লিঙ্গের মূত্রনালিতে তরল জমে থাকতে পারে এবং নড়াচড়া করলে পরে বের হতে পারে।

২. পেশি দুর্বলতা বা কন্ট্রোলের অভাব

  • পেলভিক ফ্লোর মাসলের দুর্বলতা: এই পেশিগুলো যদি দুর্বল হয়, তবে প্রস্রাবের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ঠিকমতো হয় না।
  • প্রস্রাবের পর পর্যাপ্ত ঝাঁকিয়ে না ফেলা: অনেক সময় প্রস্রাবের পর ঠিকমতো না ঝাঁকালে বা না চেপে ধরলে কিছু ফোঁটা থেকে যেতে পারে।

৩. প্রোস্টেট গ্রন্থি সম্পর্কিত সমস্যা

  • বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হলে প্রস্রাবের সম্পূর্ণ নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, ফলে কিছু ফোঁটা পরে পড়ে।
  • প্রোস্টেটের সমস্যা থাকলে প্রস্রাবের পরে ড্রিবলিং (একটু একটু করে বের হওয়া) বেশি হতে পারে।

৪. ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার (মূত্রনালির সরু হওয়া)

  • যদি মূত্রনালির পথ সংকীর্ণ হয়, তাহলে প্রস্রাব বের হতে দেরি হয় এবং সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাশিত হতে পারে না। ফলে পরে ফোঁটা ফোঁটা পড়ে।

সমাধান ও প্রতিরোধের উপায়

  • প্রস্রাবের পর লিঙ্গ ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে বা হালকা চেপে তরল বের করে নিন।

  • কিছুক্ষণ বসে প্রস্রাব করুন – এতে চাপ বেশি পড়ে এবং প্রস্রাব ভালোভাবে বের হয়।
  • কেগেল ব্যায়াম করুন – পেলভিক ফ্লোর শক্তিশালী করলে প্রস্রাবের পর ফোঁটা পড়া কমে যাবে।
  • বসার সময় একটু ঝুঁকে প্রস্রাব করুন – এতে মূত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি হয়।
  • প্রচুর পানি পান করুন – তবে খুব বেশি একসাথে নয়, সারাদিনে সমানভাবে পান করুন।
  • প্রস্রাবের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন ও মূত্রনালির চারপাশে চাপ দিন।

 তবে কিছু সাধারণ ওষুধ ও উপায় অনুসরণ করতে পারেন:

১. সাধারণ ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট:

  • ট্যাবলেট সলিফেনাসিন (Solifenacin) বা টল্টেরোডিন (Tolterodine) – এটি মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণ বাড়ায় এবং প্রস্রাব পরিপূর্ণভাবে বের হতে সাহায্য করে।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন থাকলে – নিট্রোফুরানটোইন (Nitrofurantoin) বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin) নেওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
  • প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে – ফিনাস্টেরাইড (Finasteride) বা ট্যামসুলোসিন (Tamsulosin) উপকারী হতে পারে।
  • জ্বালাপোড়া থাকলে সিরাপ এলকুলি/ ইউরিকাল 


যদি সমস্যা বেশি হয় বা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, তাহলে একজন ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

এই সমস্যা খুব সাধারণ, তবে যদি এটি খুব বেশি হয় বা বারবার বিরক্ত করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ